Description
কৃষি ভিত্তিক অপার সম্ভাবনার জনপদ ঠাকুরগাঁও এর প্রান্তিক কৃষকদের কাছে থেকে দেশী সরিষা বীজ সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে পরিষ্কার করে সম্পুর্ন নিজস্ব তত্ত্বাবধানে মাঘী ও শ্বেতী সরিষা বীজ আনুপাতিক হারে সমন্বয় করে কাঠের ঘানিতে কোল্ড প্রেস প্রসেসে খাঁটি সরিষার তেল উৎপাদন করা হয়। যেখানে নেই কোনো রকম রাসায়নিক বা কৃত্রিম উপাদানের ছোঁয়া। যার ফলে শাইন মার্ট এর তেলের পুষ্টিগুণ, স্বাদ এবং ঘনত্ব অক্ষুণ্ণ থাকে। এই তেল রান্নায় স্বাদ ও পুষ্টি যোগ করে এবং ত্বক ও চুলের জন্য একটি আদর্শ প্রাকৃতিক উপাদান।
কাঠের ঘানিতে ভাঙানো সরিষার তেল (যাকে ঘানি তেল বা কোল্ড প্রেসড সরিষার তেলও বলা হয়) ব্যবহার করার বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত ও ব্যবহারিক উপকারিতা রয়েছে।
👇নিচে তার কিছু প্রধান উপকারিতা তুলে ধরা হলো:
১. পুষ্টিগুণ অক্ষুন্ন থাকে
ঘানিতে ধীরে ধীরে ভাঙানো হয় বলে এতে উচ্চ তাপ ব্যবহার হয় না। ফলে তেলের ভিটামিন (যেমন ভিটামিন E, K), অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকে।
২. কোনো কেমিক্যাল বা প্রিজারভেটিভ ছাড়াই বিশুদ্ধ
এই প্রক্রিয়ায় তেল উৎপাদন হলে সাধারণত কোনো কেমিক্যাল বা রিফাইনিং প্রক্রিয়া লাগে না, তাই এটি অধিক প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ।
৩. অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি
সরিষার তেলে থাকা allyl isothiocyanate নামক উপাদান বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি ত্বক ও চুলে লাগালে প্রদাহ বা ইনফেকশন প্রতিরোধে উপকারী।
৪. হার্টের জন্য উপকারী
ঘানির সরিষার তেলে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৫. হজমে সহায়ক
প্রাকৃতিক সরিষার তেল হজম শক্তি বাড়ায় এবং পেটের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৬. ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারী
এই তেল চুলের গোড়া মজবুত করে, খুশকি দূর করে এবং ত্বককে মসৃণ রাখে।
👉রান্নার জন্য কাঠের ঘানিতে ভাঙানো সরিষার তেল ব্যবহারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা রয়েছে:
১. স্বাস্থ্যকর চর্বি
এই তেলে মনো ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা হার্টের জন্য ভালো এবং খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে।
২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন ই থাকে, যা শরীরের কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
৩. প্রাকৃতিক গন্ধ ও স্বাদ
ঘানি তেলে সরিষার প্রাকৃতিক গন্ধ ও স্বাদ থাকে যা রান্নাকে আরও সুস্বাদু ও ঘ্রাণযুক্ত করে তোলে, বিশেষ করে বাঙালি খাবারে।
৪. পাকস্থলী ও হজমে সহায়ক
এই তেলে রান্না করা খাবার সাধারণত হালকা হয় এবং হজমে সহায়তা করে, কারণ এতে কোনো রাসায়নিক থাকে না।
৫. ক্যামিক্যাল ফ্রি ও বিশুদ্ধ
এটি রিফাইন্ড তেলের তুলনায় অনেক বেশি প্রাকৃতিক ও বিষমুক্ত, তাই দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ।
৬. উচ্চ তাপে স্থিতিশীলতা
এটি তুলনামূলকভাবে উচ্চ তাপে ভালো থাকে, তাই ভাজাভুজির মতো রান্নাতেও ব্যবহারযোগ্য।
আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন এবং খাবারে প্রাকৃতিক স্বাদ বজায় রাখতে চান, তবে ঘানিতে ভাঙা সরিষার তেল হতে পারে একটি চমৎকার পছন্দ।